সামিটের প্রথম দিন আকর্ষণীয় এক আয়োজন দিয়ে শুরু হয়, ‘লেজিট আড্ডা’ শীর্ষক স্টার টক সেশন, যেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষাবিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও উদ্যোক্তা আয়মান সাদিক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আয়মান সাবিত (লেজিট বান্দা)। আলোচনায় উঠে আসে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল এডুকেশন এবং তরুণদের সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট তৈরি করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এরপর অনুষ্ঠিত হয় দুটি বিশেষায়িত ওয়ার্কশপ। প্রথমটি কনটেন্ট ক্রিয়েশন বিষয়ক, পরিচালনা করেন নাসির তামজিদ, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা গল্প বলার কৌশল, ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলিং ও ভিডিও প্রোডাকশনের হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা লাভ করেন। দ্বিতীয় ওয়ার্কশপটি ছিল ডিজিটাল ভেরিফিকেশন ও ফ্যাক্ট-চেকিং নিয়ে, পরিচালনায় ছিলেন শুভাশীষ দীপ। সেখানে ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ও ভুয়া তথ্য শনাক্ত করার নানা কৌশল শেখানো হয়।
সামিটের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় ডিজিটাল স্টোরিটেলার আরকে সোহান-এর একটি ইন্টার্যাকটিভ সেশন দিয়ে, যেখানে তিনি তার কনটেন্ট নির্মাণের অভিজ্ঞতা ও প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন।
এরপর জমজমাট প্যানেল ডিসকাশন-এ অংশ নেন মিডিয়া ও কর্পোরেট জগতের তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, রেদওয়ান রনি (সিইও, চরকী), জাহেদুল ইসলাম (পিআর হেড, ফুডপ্যান্ডা) এবং নিশাত সুলতানা পুরবী (প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল)। আলোচনা হয় ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন, মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গল্প বলার ভবিষ্যৎ নিয়ে।

সমাপনী সেশনে ‘ইনসাইড দি ফ্রন্ট পেইজ’ শীর্ষক আলোচনা উপস্থাপন করেন ‘ফাজবীর এসকান্দার’, যেখানে উঠে আসে নিউজ কিউরেশন, অ্যালগরিদমিক বাইাস ও তরুণদের সংবাদপাঠ দক্ষতা বৃদ্ধি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
পুরো সামিটজুড়ে ছিল সৃজনশীলতা, তথ্য ও প্রযুক্তির মেলবন্ধন, এবং তরুণদের মিডিয়া সক্ষমতা বৃদ্ধির এক অনন্য প্রচেষ্টা।
‘বিইউপি মিডিয়াকম সামিট ২০২৫’ ছিল শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং বাংলাদেশের মিডিয়া শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস।