২৭ জুলাই ২০২৫
রবিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, “বোয়িংয়ের ব্যবসা মূলত কোম্পানিগুলো করে, যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়। আমরা ইতোমধ্যে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার অর্ডার দিয়েছি। এর আগে ১৪টি অর্ডার ছিল। এবার শুল্ক ঘাটতি আরও কমাতে অর্ডারের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, ভারতের পক্ষ থেকে ১০০টি এবং ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে যথাক্রমে ১০০ ও ৫০টি বোয়িং কেনার চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করবে বোয়িং, তবে সময় লাগবে এক থেকে দুই বছর।
শুল্ক আলোচনার বিষয়ে সচিব জানান, আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চূড়ান্ত শুল্ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “গত ২৩ জুলাই আমরা আমাদের অবস্থানপত্র জমা দিয়েছি। এবার যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি আলোচনায় বসা হবে।”
ওই বৈঠকে অংশ নেবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি খলিলুর রহমান এবং সচিব মাহবুবুর রহমান নিজেও। প্রতিনিধি দল আগামীকাল (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।
বৈঠকে সয়াবিন ও তুলা আমদানি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, “বেসরকারি আমদানিকারকেরা চেষ্টা করছে সয়াবিন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আনার। বৈঠক চলাকালীন উভয় পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।”
তুলা আমদানির বিষয়ে সচিব বলেন, “তিন বছর আগে বাংলাদেশ ১.৮ বিলিয়ন ডলারের তুলা আমদানি করত। বর্তমানে আমদানির পরিমাণ কমে গেলেও তা আবার বাড়িয়ে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারলে ১ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।”