সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এই হারকে বড় হিসেবেই ধরা হচ্ছে। ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল মাত্র ১৬৯ রানের টার্গেট। কিন্তু জাকের আলীর নেতৃত্বাধীন দল এদিন লড়াই করতে পারেনি।
বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র উজ্জ্বল মুহূর্ত ছিল সাইফ হাসানের লড়াকু ইনিংস। ৫১ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে তিনি ৬৯ রান করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
ম্যাচের শুরুতে দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ তামিমের উইকেট হারালেও সাইফ হাসান ও পারভেজ হোসেনের ইমনের জুটি পাওয়ার প্লেতে ৪৪ রান তুলেছিল এবং দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এরপরই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দল।
ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপ যাদবকে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ইমন। অভিষেক শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ বলে ২১ রান করেন তিনি। ১০ বলে মাত্র ৭ রান করা তাওহীদ হৃদয় অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন। শামিম হোসেনকে প্রমোশন দিয়ে জাকের আলীর আগে পাঠানো হলে তিনি ৩ বল খেলে রান করতে পারেননি এবং বরুণ চক্রবর্তীর বলে বোল্ড হয়ে যান।
উইকেট পতনের মাঝেও সাইফ হাসান একা লড়াই চালিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা এগিয়ে রেখেছিলেন। জাকের আলীর রানআউটের পর সাইফ ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিন বলের ব্যবধানে তার দুই ছয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১৩.৪ ওভারে ১০০ রানের মাইলফলকে।
সাইফউদ্দিনের বোলিংও খুব বেশি সুবিধা দিতে পারেনি। ৩ ওভারে তিনি ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে মাত্র ৭ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি।
১৭তম ওভারে কুলদীপ যাদব রিশাদ ও তানজিম সাকিবের উইকেট তুলে নেন। রিশাদ ক্যাচ দিয়ে আউট হন, আর সাকিব হন বোল্ড আউট। সাইফ হাসানের তিনবার জীবন পাওয়া ক্যাচও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে। বুমরাহর ওভারে অবশেষে সাইফ আউট হন।
শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ৬৯ রান করার পর ১৬ বলে ৫৩ রান দরকার থাকায় বাংলাদেশের জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
এর ফলে ভারত এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেছে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ এখন অঘোষিত সেমিফাইনাল, যে জিতবে তারাই ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।