নোটিশ:
শিরোনামঃ
সীমান্তে উত্তেজনা: আখাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নাগরিক আহত ভারতের গৃহীত সিদ্ধান্তের জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের বেরোবিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা আধুনিক কৃষি: টেকসই কৃষি পদ্ধতিতে বাংলাদেশের কৃষির ভবিষ্যৎ সালাতুল ইস্তিসকার আয়োজন করলে চাপ আসত ভারত থেকে যেকোনো মুহূর্তে ভারতের হামলার আশঙ্কা, প্রস্তুত পাকিস্তান দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, বন্ধ জেরুজালেমের পথ মৃত্যুর মুখে শৈশবের শিক্ষা: ‘কালেমা’ পাঠে বাঁচলেন অধ্যাপক ও পরিবার নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইসি, কারো দিকে তাকিয়ে নয়: সিইসি ঐক্যের পথে শীর্ষ ইসলামী দলগুলো

আওয়ামী লীগের সফট পাওয়ার

আশফাকুর রুমন
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৫৪ বার দেখা হয়েছে
আওয়ামী লীগের সফট পাওয়ার
আওয়ামীলীগ যে নিজেদের “স্যাকুলার” একটা ভাইব ধরে রেখে দেশের মানুষকে দিনের পর দিন শুষে গেলো তার পিছনে সবচাইতে বড় অবদান হচ্ছে সফটপাওয়ারের ব্যবহার।
কবি, সাহিত্যিক, অভিনয়শিল্পী, চিত্রশিল্পী থেকে শুরু করে স্পোর্টস সবখানেই তারা বড় বড় তারকাদের দলে ভিড়িয়েছে এই সফট পাওয়ার এস্টাবলিশ করতে।
ভাইবা দেখেন, আওয়ামীলীগের সব নেতা কর্মি যখন দৌড়ের উপরে তখনও বাংলাদেশের বেশকিছু মানুষ সাকিব আল হাসানকে দলে দেখতে চায়।
যায়া দেখেন এদের একটা বড় অংশ জুলাই বিপ্লবে এক্টিভলি অংশগ্রহন করেছিলো।
তারপরেও তাদের কাছে “আওয়ামীলীগার” “বাটপার” “ইতর” “ফিক্সার” সাকিব আল হাসানের চাইতে “ক্রিকেটার” সাকিব আল হাসান বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনার পায়ে ধইরা সালাম করে, “মা মা ” বলে ম্যাতকার করতে থাকা চঞ্চল চৌধুরির নতুন ওয়েব সিরিজে কেউ তাকে “দালাল” বলে গালি দেয় না। কারন উনি ভালো অভিনেতা। বলে “দাদা দারুন হয়েছে।”
ভয়ংকর বদমাইশ আসাদুজ্জামান নূর গ্রেফতার হওয়ার পরে তাকে “বাকের ভাই” ভাইবা রোমান্টিসিজমে ভোগে বাংগালী।
এটাই হলো সফটপাওয়ারের ফজিলত।
আওয়ামীলীগ এটা খুব ভালো করেই জানত যে দল বিপদে পরলে এরাই তাদের নৌকা ভাসায়ে রাখবে।
সেই চেষ্টাই করে যাইতেছে আওয়ামী ইন্টেলেকচুয়াল আর বিনোদন জগতের মানুষেরা।
আনু মোহাম্মদের কাছে ডাস্টবিনে হাসিনার ছবি রুচিহীন লাগে কিন্তু ১৫ দিনে ২০০০ ছাত্র/বাচ্চা/শ্রমিক মেরে ফেলা তার কাছে তেমন কোনো বড় ব্যাপার মনে হয়না বোধহয়।
আওয়ামীলীগের যে ন্যারেটিভ, নিজেদের বাংলাদেশের একমাত্র স্যাকুলার দল, হিন্দুদের রক্ষাকর্তা, চেতনার দারওয়ান বলা, সেই ন্যারেটিভ ভাংগতে হলে সবার আগে এই সফট পাওয়ার যারা চর্চা করতে পারে সেগুলাকে একটা একটা করে ধরা উচিত।
শাওন দেশদ্রোহী কিছু করেছে কীনা সেটা বিবেচ্য না।
৬ মাস আগেই দেশে একটা মাস মার্ডার করে পালিয়ে যাওয়া সাইকো মহিলার ভাষন শুনে “ভয় পেয়োছো?” বলে যে ভয় দেখায় সেইটাই কি যথেষ্ট বড় অন্যায় না?
শুধু শাওনকে গ্রেফতার করাই শেষ না। এখানে আমাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে।
যত আওয়ামীলীগার ইন্টেলেকচুয়াল, শিল্পী আছে সবাইকে বয়কট করতে হবে।
আমি বলেছিলাম “সাকিব খেললে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখবোনা”, আমি দেখি নাই। পাকিস্তানের সাথে সিরিজ জেতা ম্যাচেও আমি একটা বলও দেখি নাই। স্কোরকার্ডও দেখি নাই।
আমি চঞ্চল চৌধুরির কোনো কাজ দেখবোনা। সে ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমাতে অভিনয় করলেও দেখবোনা।
শুধু অভিনেতাই না, যেসকল ইনফ্লুয়েন্সররাও আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছে তাদেরকেও আমি বয়কট করেছি।
দায় শুধু রাষ্ট্রের উপর ছেড়ে দিলেই হবেনা। এদেরকে বয়কট না করলে এরাই আবার আওয়ামীলীগের ন্যারেটিভ এস্টাবলিশ করবে।
আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে আমাকে আপনাকে গুলি করে মারলে এরাই হাত তালি দিয়ে বলবে, “রাজাকারের বাচ্চাগুলোকে মাইরা শ্যাষ করে দেন আপা।”
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
  • দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT