
ইউরোপে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন অভিবাসন ও শ্রমনীতি নিয়ে আলোচনা জোরদার হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বর্তমানে তৃতীয় দেশগুলোর নাগরিকদের কর্মসংস্থান ও অভিবাসন প্রক্রিয়া সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে। এই নীতির মাধ্যমে দক্ষ কর্মী নিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি এবং অনিয়মিত অভিবাসন কমানোই মূল লক্ষ্য।
তবে সামাজিক মাধ্যমে যে দাবি করা হচ্ছে—বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপে কর্মসংস্থান সীমিত করা হবে এবং ভারত-নেপালের নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে—এমন কোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব এখনো ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কিংবা ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধ অভিবাসন, প্রত্যাবাসন ও ভিসা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি আলোচনা চলমান। ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহু বাংলাদেশি কর্মভিসায় ইউরোপে গিয়ে পরবর্তীতে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করছে। এ কারণে সদস্য রাষ্ট্রগুলো অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাড়তি কঠোরতা আনতে চায়।
ইইউ বর্তমানে “Skills and Talent Package” নামে একটি নতুন নীতি গ্রহণের পথে রয়েছে, যার লক্ষ্য ইউরোপে দক্ষ কর্মী নিয়োগ আরও সহজ করা। নীতিটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের বিরুদ্ধে নয়; বরং আবেদনকারীর দক্ষতা, যোগ্যতা এবং আইন মেনে কাজ করার মনোভাবের ওপর ভিত্তি করেই সুযোগ নির্ধারণ করা হবে।
সব মিলিয়ে, ইউরোপে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ কোনো নিষেধাজ্ঞা বা সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অবৈধ অভিবাসনের প্রবণতা বাড়লে ভবিষ্যতে নিয়ম-কানুন আরও কঠোর হতে পারে। তাই যারা ইউরোপে কাজ করতে বা অবস্থান করতে চান, তাদের জন্য বৈধ উপায়ে আবেদন, ভিসার শর্ত মানা এবং আইন মেনে থাকা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ।