২৮ আগস্ট ২০২৫
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীন-জাপান যুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘বিজয় দিবস’ কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে বেইজিং। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অংশ নেবেন।
এবারের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নতুন কাঠামোতে চীনা সামরিক বাহিনীকে উপস্থাপন করা হবে। তিয়েনআনমেন স্কোয়ার দিয়ে শৃঙ্খলভাবে অগ্রসর হবেন হাজার হাজার সেনা। প্রদর্শন করা হবে যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং আরও নানা সামরিক সরঞ্জাম। চীনের কথিত ৪৫টি ‘ইচেলন’ ইউনিটের সেনা ও প্রবীণ যোদ্ধারাও এতে অংশ নেবেন। প্রায় ৭০ মিনিটব্যাপী এই মহড়ার দিকে পশ্চিমা শক্তি ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের নিবিড় নজর থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে কিম জং উনের উপস্থিতি কেবল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুই হবে না, বরং এটি চীনা প্রেসিডেন্ট শির জন্য কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবেও বিবেচিত হবে।
অন্যদিকে, ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি কিম জং উনের সঙ্গে নতুন করে বৈঠক করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, শি জিনপিং এর মধ্যেই বার্তা দিতে চাইছেন যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে নেতৃত্ব তার হাতেই এবং কিম ও পুতিনের ওপর তার সুদৃঢ় প্রভাব রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের সূত্র বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অক্টোবরের শেষে ওই অঞ্চলে সফরে যেতে পারেন এবং শির সঙ্গেও বৈঠক করতে আগ্রহী। তার আগে কিম ও পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সেরে নিয়ে চীনের প্রভাব স্পষ্ট করতে চাইছেন শি জিনপিং।
কিম জং উন সর্বশেষ ২০১৯ সালে বেইজিং সফর করেছিলেন, তখন দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি তিনবার বেইজিং যান, যা তার জন্য ছিল ব্যতিক্রমী সক্রিয় বছর।
অন্যদিকে, জাপান সম্প্রতি ইউরোপীয় ও এশীয় মিত্রদের এই কুচকাওয়াজে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেইন যুদ্ধ ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব থাকায় বহু পশ্চিমা দেশ এবারও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে না।