পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অভিবাসন আইন-২৫ অনুমোদন স্থগিত করে আদালতে পাঠালেন - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে গ্রীন ভয়েসের পাঠচক্র “প্রয়াস” অনুষ্ঠিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাদের ঢালাই ভেঙে আহত ১২ শ্রমিক, সাটারিংয়ে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ রাজধানী দখলের গোপন পরিকল্পনায় গেরিলা প্রশিক্ষণ, আওয়ামী নেতাকর্মী গ্রেফতার গাজায় ত্রাণ নেওয়ার সময় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেল ৭১ জনের জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশে এলজিবিটিকিউ নিয়ে কাজ করবে: মিলল গোপন প্রমাণ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যে ভারতের ৬ প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর উদ্যোগ – ভূরাজনৈতিক শঙ্কা ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার যুগপৎ জাগরণ রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্মম নির্যাতনের তথ্য, ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ শেষ হলো বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ টাইগার লাইটনিং-২০২৫’ পর্তুগালে ভয়াবহ দাবানল: সাতজনের মৃত্যু, বহু এলাকা পুড়েছে

পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট অভিবাসন আইন-২৫ অনুমোদন স্থগিত করে আদালতে পাঠালেন

মিফতাহ চৌধুরী (লিসবন প্রতিনিধি)
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৯ বার দেখা হয়েছে

পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সোলো রেবেলো দে সাউসা নতুন “অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইন-২৫” চূড়ান্তভাবে অনুমোদন না দিয়ে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাংবিধানিক আদালতে পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের দৃষ্টিতে খসড়া আইনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অসংগতি রয়েছে, যা সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মত দিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট রেবেলো দে সাউসা আইনটিতে তিনটি বড় ধরনের ক্রুটি লক্ষ্য করেছেন, যা হলো—

১. আপিলের সুযোগ সীমিত করা:

নতুন আইনে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে আবেদনকারীদের আপিলের অধিকার সীমিত করা হয়েছে। এতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সংকীর্ণ হতে পারে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

২. অভিবাসন বিরোধী ধারা:

প্রেসিডেন্টের মতে, প্রস্তাবিত আইনটি অভিবাসীদের স্বার্থবিরোধী হয়ে উঠতে পারে এবং বর্তমান অভিবাসন নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে এটি প্রয়োগে বৈষম্য তৈরি হতে পারে।

৩. মানবিক অধিকার খর্বের আশঙ্কা:

নতুন আইনের কিছু ধারা অভিবাসীদের পরিবার reunification (পরিবারকে পরবর্তীতে নিয়ে আসার) ও অন্যান্য মৌলিক মানবিক সুযোগ-সুবিধা সীমিত করতে পারে। এতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট মনে করেন।

এসব কারণে প্রেসিডেন্ট বিলটিতে স্বাক্ষর না করে তা পর্তুগালের সাংবিধানিক আদালতের পর্যালোচনার জন্য পাঠিয়েছেন। তার মতে, চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে বিলটির আরও গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন।

এদিকে প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে পর্তুগালের পিএস (সোশালিস্ট পার্টি) ও সুশীল সমাজের অনেকেই। তাদের প্রত্যাশা, সাংবিধানিক আদালতের মতামতের ভিত্তিতে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে আইনটি আরো মানবিক ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে সংশোধিত হয়ে কার্যকর হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT