আগামী নভেম্বরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী ছয় আলেম। বাংলাদেশ সফরে আসছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম পাকিস্তানের সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, দারুল উলুম দেওবন্দের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি, মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানি, মক্কা শরিফের মাওলানা ওমর হাফিজ মক্কি ও মাওলানা আবদুর রউফ মক্কি।
খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা উবাইদুল্লাহ কাসেমি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরির আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন তারা। আগামী ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও নবুয়ত আকিদার গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।
মাওলানা উবাইদুল্লাহ কাসেমি আরও জানান, মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা ফজলুর রহমানের পাকিস্তানের বাসভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন এবং তাকে বাংলাদেশ সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। এছাড়া মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানি, মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ মাদানি ও মাওলানা আবুল কাসেম নোমানীসহ অন্য আলেমদেরও আনুষ্ঠানিক দাওয়াত প্রদান করা হয়েছে, তারা সবাই দাওয়াত গ্রহণ করেছেন।
খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ-এর মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী জানিয়েছেন, সম্মেলনের আয়োজনের জন্য জোরালো প্রস্তুতি চলছে। সম্মেলনটি সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের উদ্যোগে এবং খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশ-এর তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে পীর সাহেব মধুপুরী সকল ঈমানদার মুসলিমদের সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে খতমে নবুওয়তের পবিত্র আকিদা সংরক্ষণের আহ্বানে শামিল হওয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ‘খতমে নবুয়ত’ শব্দ দুটি আরবি শব্দ। ‘খতম’ অর্থ শেষ বা সমাপ্তি, আর ‘নবুয়ত’ অর্থ পয়গম্বরী, নবীত্ব। সুতরাং ‘খতমে নবুয়ত’ অর্থ নবীগণের সমাপ্তি। ইসলামি পরিভাষায় মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নবী হিসেবে মেনে নেওয়াকে ‘খতমে নবুয়ত’ বলা হয়।