চোরা হাওয়ায় পা কেটে যায়
চোরা হাওয়ায় পা কেটে যায় এই ঝর্ণাপাতা দিনে
ওরে আমার উড়ালপঙখী মন
ওরে আমার উথাল-পাতাল কমল সবুজ বন।
চোখা মাথার কাদাখোঁচা খুঁটছে কাদায় বীজ
শিরিশঘষা চন্দ্র অকল্কাতে
রাত ভেসে যায় তন্দ্রানিঝুম বিনে।
চোরা হাওয়ায় পা কেটে যায় এই ঝর্ণাপাতা দিনে।
গাঙফড়িয়ের ওড়াউড়ি বৃষ্টিমেদুর সিনে।
স্বপ্নচূড়া শঙখজবা শব্দশালিক তুমি
মায়াবতী লাজুকলতা বিন্নি ধানের খই
তুমি জ্যোস্নাস্নাত দুধমাখা ভাত,পান্না নদীর দই।
থমথমে এই উদাস দুপুর, শান্ত বিলের শামুক
তপ্তমাঠে সজনে শালিক সাতমাথা ফিনফিনে
চোরা হাওয়ায় পা কেটে যায় এই ঝর্ণাপাতা দিনে।
ম্যান ও মেশিন
লোহার হাড় গেঁথে আছে মানব মাংসের মাঝে,
ঝিনুকের মতো চোখে ঝরে পড়ছে সুরের ভেতর ধোঁয়া।
মেশিনের নীরব ফিসফিস,
যেমন ভাঙা স্মৃতির গলায় ঘুমিয়ে থাকা কান্না।
অ্যাড্রেনালিনের পথে বাজে ধাতব হৃদয়ের টুকরো,
সিলিকনের স্পর্শে গলছে শিরার নরমতা,
ম্যানুয়াল নিঃশ্বাস আর অটোমেটিক তালে,
একসাথে নাচে ছায়া আর আলো — অস্তিত্বের এক বিভাজন।
লোকোমোটিভের গর্জন ভাঙে নীরবতার খামোশ কুঠুরিতে,
সেন্সরের চোখে স্নায়ুর খেলা আঁকে এক দিশাহীন ছবি,
মানুষের হৃৎপিণ্ড হারিয়ে যায় সার্কিটের ডানায়,
মেশিনে রূপান্তরিত চাওয়া, থাকা, বেঁচে থাকা।
কত দূর এগোবে ম্যান?
কত ক্লান্তি ধরে মেশিনের ছায়া?
কখন থামবে হারানো মানুষের গানের ভেসে যাওয়া সুর?