বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা শাখা আয়োজিত এই সুধী সমাবেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। নির্যাতিত এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরাও এতে অংশ নেন।
ভারতের সমালোচনা
শফিকুর রহমান বলেন, “ভারত বন্ধুত্বের নামে ডাকাতি করেছে। ১৯৭১ সালে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণের সময় সব অস্ত্র তারা নিয়ে গেছে, কিন্তু একটিও ফেরত দেয়নি। এটা কেমন বন্ধুত্ব?”
তিনি আরও বলেন, “১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি টুইটে বাংলাদেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এটা ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করেননি, কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমরা পিন্ডির শাসন থেকে মুক্ত হলেও দিল্লির শাসনের অধীনে ছিলাম। আমাদের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে হলে মর্যাদার সঙ্গে এগোতে হবে।”
আওয়ামী লীগের সমালোচনা
শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ শাসনের নামে শোষণ চালিয়ে দেশের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। তারা শুধু শারীরিকভাবে মানুষকে আঘাত করেনি, বরং মান-ইজ্জত এবং রিজিক নিয়ে টানাটানি করেছে। স্বাধীনতার পর দেশটিকে ভারতের কাছে ইজারা দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখতে পারিনি।”
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মন্তব্য
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। গুন্ডাপাণ্ডাদের দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শেষ করে দিয়েছে। আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যেখানে সন্তানেরা নৈতিক শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধন করবে এবং চাকরির জন্য কারও করুণার পাত্র হতে হবে না। সার্টিফিকেটের নামে কাগজ নয়, আমরা কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চাই।”
বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। সভাপতিত্ব করেন জেলা জামায়াতের আমির গোলাম রসূল। বক্তব্য দেন যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, সহকারী পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান, এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবু জাফর সিদ্দিকী।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd
Leave a Reply