চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু জাতিসত্তার মানুষকে শান্তিতে থাকতে না দিলে, তারাও কাউকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামে সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তার না করা হলে, পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র ও জনগণ পুরো পাহাড় অচল করে দেবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মশাল মিছিলের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে, ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ সংগঠনের এনসিটিবি ঘেরাও কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা এবং সঞ্চালনা করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের ধ্রুব বড়ুয়া। এতে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর চবি আহ্বায়ক জশদ জাকির, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিলের (বিএমএসসি) কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পাইয়ু মারমা, ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ধন কিশোর ত্রিপুরা, এবং ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয় জ্যোতি চাকমা।
মিছিলের বক্তারা দেশের আদিবাসী জনগণের অধিকারের প্রতি অবিচারের প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছেন এবং সরকারের প্রতি তাদের কঠোর অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, আদিবাসীদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। তারা দাবি করেছেন, সরকার যদি তাদের বৈধ দাবি পূরণ না করে এবং নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদসহ অন্যান্য পার্বত্য জনগণের প্রতিবাদ আরও তীব্র হবে।
এছাড়া, বক্তারা শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকেও একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং তা রোধ করার জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
Leave a Reply