বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লির কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে আমার দেশ-এর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তাকে রাখা হয়েছে দিল্লির অভিজাত লুটিয়েন্স বাংলো জোনের একটি সুরক্ষিত বাড়িতে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, শেখ হাসিনাকে ১১ রাজাজি মার্গে রাখা হয়েছে, যদিও ভারত সরকার তার অবস্থানের তথ্য গোপন রেখেছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল তার নিরাপত্তা ও কার্যক্রম তদারকি করছেন বলে জানা গেছে।

রাজাজি মার্গ দিল্লির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, যেখানে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিচারপতি এবং রাজনীতিকরা বসবাস করেন। এর পাশেই রয়েছে কাশ্মীর হাউসসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন দপ্তর, যা এ এলাকার নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে।

এলাকাটি ঘুরে দেখা গেছে, ১০ রাজাজি মার্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নামফলক থাকলেও ১১ নম্বর বাংলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গুগল ম্যাপে ১১ রাজাজি মার্গের লোকেশন থাকলেও বাস্তবে সেটি অনুপস্থিত, যা সন্দেহ বাড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেনাবাহিনীর দপ্তর ও ১১ নম্বর বাংলোকে মিলিয়ে দিয়ে নতুন করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে বাড়িটির প্রকৃত অবস্থান গোপন রাখা যায়।

দিল্লির সাংবাদিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য মোদি সরকার কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখেছে। এমনকি তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য খুব কম লোকের কাছেই রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, তিনি মাঝে মাঝে দিল্লির লোদি গার্ডেনে হাঁটতে যান, তবে তার প্রতিটি পদক্ষেপ কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট-এর তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সেখানে দুই দিন অবস্থানের পর তাকে লুটিয়েন্স বাংলো জোনের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনাকে যে নিরাপত্তার চাদরে রাখা হয়েছে, তা কেবল তার মর্যাদার কারণে নয়; বরং তার বর্তমান অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশও এর সঙ্গে জড়িত। ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব থাকলেও বিভিন্ন সূত্রের দাবি, শেখ হাসিনার অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সূত্র: আমার দেশ।

• দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
• দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd