সোমবার (১২ মে) পুনে জেলায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জেনারেল নারাভানে বলেন, সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের জীবনে যুদ্ধ মানেই দুঃস্বপ্ন—স্বজন হারানো, ঘরছাড়া হওয়া এবং জীবনের অনিশ্চয়তা তাদের নিত্যসঙ্গী।
তিনি আরও বলেন, একজন সৈনিক হিসেবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকলেও, ব্যক্তিগতভাবে তিনি সবসময় কূটনীতিক পথকেই অগ্রাধিকার দেন। “যুদ্ধ খুবই গুরুতর বিষয়। এটা শুধু তখনই হওয়া উচিত, যখন কূটনীতির সব পথ ব্যর্থ হয়,”—জানান তিনি।
মনোজ নারাভানে বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, এখন যুদ্ধের সময় নয়। কিছু অজ্ঞ মানুষ যুদ্ধ উসকে দিতে চাইছেন, কিন্তু এতে গর্ব করার কিছু নেই। বরং আমাদের উচিত শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা।”
তিনি আরও বলেন, কেবল দেশের মধ্যে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মতপার্থক্য দূর করতে সহিংসতার বদলে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজা উচিত। “সহিংসতা কখনোই স্থায়ী সমাধান নয়,”—উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় উভয়পক্ষ, যা শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতেই জেনারেল নারাভানে শান্তির বার্তা দিয়ে মনে করিয়ে দিলেন— যুদ্ধ কোনো রোমাঞ্চ নয়, এটি জীবনের জন্য ভয়াবহ বিপদ।