২৩ জুন ২০২৫
এই ট্রেন্ডটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘টিংকারবেল টারমারিক ট্রেন্ড’। মূলত এটি একটি দৃষ্টিনন্দন ও আবেগনির্ভর ভিডিওর ধরন, যেখানে অন্ধকার ঘরে পানির গ্লাসে ধীরে ধীরে গুঁড়া হলুদ মেশানো হয়, আর তার নিচে থাকে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট। হলুদের সঙ্গে আলো ছড়িয়ে পড়ে এক রঙিন, আবেশী পরিবেশ, আর তার সঙ্গে বাজে মন ছুঁয়ে যাওয়া গান।
কে শুরু করলেন?
১৪ জুন মালয়েশিয়ার কনটেন্ট ক্রিয়েটর পুষ্পা গোমেন প্রথম এই ভিডিওটি বানান। ফ্ল্যাশলাইটের আলোয় পানিতে হলুদ মেশানোর মুহূর্তে তার আশপাশের মানুষদের মুখে বিস্ময় ফুটে ওঠে। এই ভিজ্যুয়াল আর আবেগী সাউন্ডট্র্যাকে মিলিয়ে তৈরি হয় এক আকর্ষণীয় মুহূর্ত। ভিডিওটি মাত্র এক সপ্তাহেই টিকটকে ছাড়িয়ে যায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি ভিউ (২২ জুন রাত ১১টা পর্যন্ত)।
কেন ভাইরাল হলো?
চোখ জুড়ানো ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট
সহজেই বানানো যায়
আবেগঘন ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক
সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ
বিনোদনমূলক, নির্দোষ ও ট্রল করার মতো উপাদান
বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া
দেশের জনপ্রিয় টিকটকার ও ইউটিউবারদের অনেকেই এরই মধ্যে ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন। অনেকে নিজেদের মতো করে ভিন্ন স্টাইলে উপস্থাপন করছেন ভিডিওটি। ‘আর্টফুল শতাব্দী’ নামে এক টিকটকার এমনকি ভিডিও টিউটরিয়ালও বানিয়েছেন—যা এরই মধ্যে ছয় লাখের বেশি ভিউ পেয়েছে। ওই টিউটরিয়ালে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে সাধারণ উপকরণ দিয়ে ঘরেই বানানো যায় এই আলো-হলুদের মিশ্রণে সৃষ্ট ‘জাদু’ ভিডিও।
এই ট্রেন্ডে কোনো রাজনৈতিক বার্তা বা গভীর তাৎপর্য নেই। এটি নিছক একটি ভিজ্যুয়াল ফান, যা মানুষকে একটু বিনোদন দেয় এবং তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। তবে এর মধ্য দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব কতটা দ্রুত ও বিস্তৃত হতে পারে, তার একটি প্রাসঙ্গিক প্রমাণও পাওয়া যায়।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এখন প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ভিডিও। আর তাতে বোঝা যাচ্ছে—কখন কোন সাধারণ বিষয়ই বা হয়ে ওঠে ভাইরাল, তা অনুমান করা সত্যিই কঠিন!