প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫
রোববার রাতে নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমি পুতিনকে অনেকদিন ধরেই চিনি। সম্পর্ক সবসময় ভালো ছিল। কিন্তু এখন সে শহরে রকেট ছুড়ে সাধারণ মানুষ হত্যা করছে—আমি একদমই এটা পছন্দ করছি না।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “পুতিন এখন একেবারে পাগলের মতো আচরণ করছে। আমি আগেই বলেছিলাম, সে শুধু ইউক্রেনের একটি অংশ নয়, পুরো দেশটাই চায়। আর যদি সেটা সত্যি হয়, তাহলে এর পরিণতিতে রাশিয়ার পতন ঘটবে।”
রোববার রাতেই রাশিয়া ইউক্রেনে ৩৬৭টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা ২০২২ সালের যুদ্ধ শুরুর পর এক রাতের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হন এবং অনেকে আহত হন। সোমবার সকালেও ইউক্রেনজুড়ে হামলার সতর্কতা জারি ছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এতে পুতিন আরও উৎসাহ পাচ্ছেন। তিনি রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান।
ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ডে তিনি ‘একদমই খুশি নন’ এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে এখনো কোনো নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
একই সঙ্গে ট্রাম্প ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কথাবার্তাকেও সমালোচনা করে বলেন, “ও যা বলছে, তা দেশের জন্য ভালো নয়—বরং সমস্যা তৈরি করছে। আমি এটা পছন্দ করছি না এবং মনে করি এটা বন্ধ হওয়া উচিত।”
এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে দুই ঘণ্টার ফোনালাপ হয়, যেখানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাম্প জানান, আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে এবং দু’দেশই দ্রুত শান্তি আলোচনায় বসতে পারে।
ইউক্রেন ইতোমধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তবে পুতিন কেবল ‘ভবিষ্যতের সম্ভাব্য শান্তি’ নিয়ে একটি স্মারকলিপি তৈরির কথা বলেছেন, যা ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের মতে, সময়ক্ষেপণের একটি কৌশল।
গত ১৬ মে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যদিও তাতে কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া উপদ্বীপও।
সূত্র: বিবিসি