১৭ জুন ২০২৫
ঘটনাটি ঘটেছে সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে। জানা গেছে, গত শুক্রবার জুমার খুতবার আগে ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম দুর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে কথা বললে মসজিদের কিছু মুসল্লি তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের তোপের মুখে ইমামকে বয়ান শেষ করতে না দিয়েই লাঞ্ছিত করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর ধরে ওই মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ফরিদপুর ইউনিয়নের চাঁদ করিম গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম। এর আগেও তিনি গণআন্দোলনের সময় জুলুমের বিরুদ্ধে কথা বলায় ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালিগালাজের শিকার হন।
সম্প্রতি মসজিদে সুদ ও ঘুষের বিরুদ্ধে কথা বলায় একদল মুসল্লি ও মসজিদ কমিটির কিছু সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে তাকে সরানোর নানা অপকৌশল শুরু করে। রমজানে তারাবির নামাজ পড়াতে না দেওয়া, সামাজিকভাবে বঞ্চিত করা, এমনকি মসজিদের নাম পরিবর্তনের মতো পদক্ষেপও নেওয়া হয়।
ইমাম হামিদুল ইসলাম বলেন, “আমি শুধু কোরআন-সুন্নাহর আলোকে অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। কিন্তু তারই পরিণতিতে আমাকে অসম্মানিত হয়ে মসজিদ ছাড়তে হয়েছে।”
এ ঘটনার প্রতিবাদে মুসল্লি জাহাঙ্গীর আলম সরকার হারুনও সামাজিকভাবে বয়কটের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মসজিদ কমিটির সদস্য ছামছুল সরকার বিদ্যুৎ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ভাষা অনভিপ্রেত হলেও, পরিস্থিতি যেন আরও জটিল না হয়, তাই বিষয়টি বাড়তে দেইনি।”
জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান শুভ বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানিনি, তবে যেটুকু শুনেছি তা নিন্দনীয়। এমন ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ধর্মীয় স্থানে সত্যের পক্ষে কথা বলার পরিবেশ বজায় রাখা প্রয়োজন।