নতুন বাজারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
১৩ নভেম্বর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার, সারাদেশে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাবি জিয়া পরিষদের সভাপতির পদ হারালেন অধ্যাপক এনামুল  দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি

নতুন বাজারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫
  • ২৩২ বার দেখা হয়েছে
নতুন বাজারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, ছবি: লাবিব মুহাম্মদ
নতুন বাজারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, ছবি: লাবিব মুহাম্মদ

২৫ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকা। পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা আরও বৃহত্তর পরিসরে সংগঠিত হয়ে পুনরায় সড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের সমর্থনে যোগ দিয়েছেন অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও, যার ফলে পুরো এলাকায় যান চলাচল ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং জনজীবনে তীব্র ভোগান্তি নেমে এসেছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার সকাল ৮টার দিকে, যখন ইউআইইউ-এর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের সমর্থনে সহপাঠীরা নতুন বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বেলা বাড়ার সাথে সাথে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা অনড় থাকেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশি হামলার পর সাময়িকভাবে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও, এই ঘটনা তাদের ক্ষোভকে আরও উসকে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা দ্বিগুণ শক্তিতে সংগঠিত হয়ে আবারও সড়ক অবরোধ করেন।

এই পর্যায়ে তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে অন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও যোগ দিলে আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত অবরোধে রামপুরা, বাড্ডা, প্রগতি সরণি থেকে শুরু করে তেজগাঁও পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিসগামী মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে পড়ে। বহু মানুষকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা হতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তারা অভিযোগ করেন, এই ২৫ শিক্ষার্থী জুলাই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অন্যায়ভাবে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রাইভেট ভার্সিটি ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (পুনাব)-এর সহ-সভাপতি লাবিব মুহান্নাদ আজ আন্দোলনে অংশ নিয়ে দুপুর ১টায় নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে লেখেন, ” লাবীব মুহান্নাদের জবাবদিহিতা আল্লাহর কাছে, অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি, ইনশাল্লাহ করবোওনা বিজয় অথবা মৃত্যু।”

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, নতুন বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। দাবি আদায় ও সড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের এই টানাপোড়েনে নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT