
কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীদের জন্য বড় সুখবর দিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে আবেদন করতে পারবেন। আগে এ পদে আবেদন করার যোগ্যতা ছিল কেবল আলিম সনদধারীদের।
রোববার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় সংশোধিত বিধান অনুযায়ী কওমি স্বীকৃত বোর্ডের দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিধারীদের জন্যও নিকাহ রেজিস্ট্রার হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।
ফেসবুক পোস্টে ড. নজরুল লিখেন, “এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরা নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) হতে পারবেন। আগে এই সুযোগ আলিম সনদধারীদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় এই সুযোগ বাড়ানোর জন্য আইন সংশোধন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও এই পদে আবেদন করতে পারবেন।”
কওমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক উন্নয়ন হিসেবে দেখলেও তাদের দাবি, দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রিধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কেবল ধর্মীয় খাতে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। অনেকেই মনে করছেন—যেভাবে সাধারণ শিক্ষায় স্নাতক বা সমমানধারীরা সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে আবেদন করতে পারেন, সেভাবেই কওমি ডিগ্রীধারীদেরও সংশ্লিষ্ট ও উপযুক্ত সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিত।
তাদের যুক্তি, দাওরায়ে হাদিস আজ সরকারিভাবে মাস্টার্স সমমান হিসেবে স্বীকৃত। তাই ইসলামিক স্টাডিজ–সম্পর্কিত সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, আরবি–ইসলামিক শিক্ষা বিভাগ, ইসলামিক সংস্কৃতি বোর্ড, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রকল্প, হজ ব্যবস্থাপনা, ওয়াকফ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট পেশাগত ক্ষেত্রেও নিয়োগের দরজা উন্মুক্ত করা প্রয়োজন।
কওমি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা—আইন উপদেষ্টার ঘোষণার মতোই সরকারের নীতি–সংশোধনের মাধ্যমে কওমি সনদের কর্মক্ষেত্র আরও বিস্তৃত হবে এবং তাদের শিক্ষা–দক্ষতা জাতীয় পরিসরে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।