জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে ঘটে যাওয়া ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এক কমিটি গঠন করেন। কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদাকে আহ্বায়ক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. অলি উল্লাহকে সদস্য-সচিব করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটি মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মাসব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে থাকছে শহিদদের স্মরণে মসজিদ ও মন্দিরে দোয়া ও প্রার্থনা। জুলাই হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি হবে। প্রদর্শিত হবে জুলাই আন্দোলনের ডকুমেন্টারি। শিক্ষার্থীরা কালো-ব্যাজ ধারণ করবে। ত্রিশালের শহিদ পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা করা হবে। কবর জিয়ারতও করা হবে।
আয়োজন থাকবে ‘জুলাই স্মরণ’ অনুষ্ঠান। উদ্বোধন করা হবে ‘জুলাই ৩৬ কর্ণার’। থাকবে গ্রাফিতি আঁকা। ‘গ্লোবাল সলিডারিটি’ নামে দেশি-বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা এই আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন, তাঁদের কার্যক্রম নিয়ে হবে বিশেষ প্রদর্শনী।
জুলাই-আগস্ট স্মরণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে হবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে রচনা প্রতিযোগিতা। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আয়োজন শেষ হবে ৫ আগস্ট।
সেদিন শহিদদের জন্য দোয়া, বিজয় র্যালি, আলোচনা সভা, বিতর্ক, গান-কবিতা আবৃত্তি ও পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে মাসব্যাপী এই কর্মসূচি। ধাপে ধাপে নির্ধারিত দিনে এগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রয়োজনে এই কর্মসূচির তারিখ, সময় ও স্থানে পরিবর্তন বা নতুন কর্মসূচি যোগ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, শহিদদের স্মরণ এবং গণতন্ত্র-ন্যায়ের পক্ষে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করতেই এই মাসব্যাপী আয়োজন করা হচ্ছে।