ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের উপজাতি অধ্যুষিত পার্বত্য অঞ্চলে ফের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। কুকি-জো সম্প্রদায়ের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের মধ্যেই শনিবার কাংপোকপি জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে ১ মার্চ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে অবরুদ্ধ জাতীয় মহাসড়ক খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজ্য প্রশাসন কাংপোকপির রুটে বাস চালানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায়। প্রথমে বাস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়, পরে পুলিশের ওপর আক্রমণ হয়। আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেয়।
মণিপুর পুলিশের দাবি, সংঘর্ষে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালিয়েছে। ঘটনায় ১৬ জন বিক্ষোভকারী ও ২৭ জন নিরাপত্তা সদস্য আহত হয়েছেন।
এদিকে, কুকি-জো সম্প্রদায়ের সংগঠন ইন্ডিজিনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরাম (আইটিএলএফ) নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির দাবি, সরকার মেইতেই সম্প্রদায়ের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করতে কুকি অধ্যুষিত এলাকায় পুলিশি অভিযান চালায়, যা স্থানীয়দের উত্তেজিত করেছে।
প্রসঙ্গত, ১৩ ফেব্রুয়ারি মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় এবং রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চলে যায়। সহিংসতা প্রশমনের লক্ষ্যে ৬ মার্চের মধ্যে অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে এখনো প্রায় ছয় হাজার লুণ্ঠিত অস্ত্র জনগণের হাতে রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।