গাজায় অনাহারে সাংবাদিকরা, সহকর্মীদের জীবন বাঁচাতে এএফপির আর্জি - দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ
নোটিশ:
শিরোনামঃ
দেশেই হবে বিশ্বমানের বন্ধ্যত্ব চিকিৎসা, তুরস্কের বিনিয়োগে নতুন হাসপাতাল টিএফডির শিরোপা জয়, তবু বুটেক্সে অশান্তি; খেলাকেন্দ্রিক সংঘাতে তদন্ত শুরু ট্রাম্পের হুমকিতে মামদানির জবাব: উন্নয়ন তহবিল বন্ধ হলে আদালতে যাব শেকৃবিতে কর্মকর্তা–কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ও ড্রপআউট ছাত্রদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইবিতে সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত কুবি শিক্ষার্থী প্রভা রাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত কিউএস র‌্যাংকিংয়ে প্রথমবারের মতো স্থান পেল শেকৃবি কুবিতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও সদস্য ফরম বিতরণ নিউইয়র্কের তরুণ মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি: এক বছরে অচেনা মুখ থেকে বৈশ্বিক প্রভাবের কেন্দ্রে

গাজায় অনাহারে সাংবাদিকরা, সহকর্মীদের জীবন বাঁচাতে এএফপির আর্জি

সালমান বক্স, ইউরোপ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ১০৮ বার দেখা হয়েছে

ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি গাজায় অবস্থানরত তাদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে ইসরায়েলের প্রতি জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে সাংবাদিকদের অবস্থা এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে, সংস্থাটি তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এএফপি জানায়, গত কয়েক মাসে গাজায় সাংবাদিকদের জীবনযাত্রার মান নাটকীয়ভাবে অবনতি ঘটেছে। তাদের সাহস ও পেশাদারিত্ব থাকা সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তা আর সহনীয় নয়। এএফপি বলেছে, বিদেশি গণমাধ্যমের অনুপস্থিতিতে ফিলিস্তিনি ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরাই গাজা থেকে সত্য তুলে ধরার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, কিন্তু বর্তমানে তাদের জীবন চরম হুমকির মুখে।

এএফপির সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘সোসাইটি অব জার্নালিস্টস’ জানিয়েছে, গাজায় কর্মরত সাংবাদিকরা এখন অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, প্রতিনিয়ত আশঙ্কা কাজ করছে—যে কোনো সময় সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর আসতে পারে। তারা প্রায় একাই গাজা থেকে খবর পৌঁছে দিচ্ছেন, কারণ প্রায় দুই বছর ধরে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সংগঠনটি ৩০ বছর বয়সী একজন ফটোসাংবাদিক বাশারের একটি মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানায়, তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন: “আমার শরীর শুকিয়ে গেছে, কাজ করার মতো শক্তি নেই।”

এএফপি আরও বলেছে, সংস্থাটি ১৯৪৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংঘাতপূর্ণ বহু অঞ্চলে কাজ করেছে। অনেক সাংবাদিক সহকর্মী হতাহত হয়েছেন, কেউ বন্দি হয়েছেন। কিন্তু এর আগে কখনও ক্ষুধায় কোনো সহকর্মীর মৃত্যুর মুখে পড়ার নজির নেই। এটি এক অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রচারে অগ্রণী সংস্থা আল জাজিরাও এক বিবৃতিতে গাজার সাহসী সাংবাদিকদের বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থার মহাপরিচালক মোস্তেফা সোয়াগ বলেন, “ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধ ও লক্ষ্যভিত্তিক সহিংসতায় সাংবাদিকরা চরম দুর্দশায় রয়েছেন। তাদের কণ্ঠস্বর বিশ্বে পৌঁছে দেওয়া এবং এই দুর্ভোগের অবসান ঘটানো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।”

এদিকে ব্রিটেনভিত্তিক মানবিক সংস্থা অক্সফাম জানায়, গাজায় তাদের কর্মীরাও একইভাবে খাদ্য ও পানির তীব্র সংকটে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। সংস্থাটির নীতি বিষয়ক প্রধান বুশরা খালিদি আল জাজিরাকে জানান, তাদের এক কর্মী বলেছেন, “তিনি পানি ছাড়া, শুধু একটি ফালাফেল খেয়ে পুরোদিন কাজ করেছেন।”

এই প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে—গাজায় সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের জরুরি, বাস্তব ও কার্যকর হস্তক্ষেপ এখন সময়ের অপরিহার্য দাবি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.

এই ধরনের আরও নিউজ

© কপিরাইট ২০২৪-২০২৫ | সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: NagorikIT