পিডিবি চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদন, সরকারি জমি দখল এবং ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এসব অভিযোগেরই অংশ হিসেবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর নথি তলব করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’-এর নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তিন মেয়াদে খাতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮৩০ কোটি মার্কিন ডলার, যা টাকায় প্রায় পৌনে ৪ লাখ কোটি। শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদই প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ।
এছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তির ক্ষেত্রে এনবিআরের শুল্ক ও কর অব্যাহাতির মাধ্যমে প্রায় ৪০ কোটি ডলার কর ফাঁকির অভিযোগও খতিয়ে দেখছে দুদক।
এই অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।