
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শায়ক “গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫” অর্জন করায় তাকে সংবর্ধনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ডাইস অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুটেক্সের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মো. জুলহাস উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস (আইটিইটি)-এর আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা ড. আব্বাস উদ্দিন শায়কের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক জুলহাস উদ্দিন বলেন, “ড. আব্বাস যে বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন, তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাঁর গবেষণা ‘ডিকার্বনাইজিং এবং ওয়েব প্রসেস’ নিয়ে, যা ব্যবহারোপযোগী ও ভবিষ্যৎমুখী। এটি বাস্তবে প্রয়োগ করা গেলে দেশের জন্য বিশাল উপকার বয়ে আনবে।”
ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার বলেন, “ড. আব্বাসের এই অর্জন শুধু তার ব্যক্তিগত নয়, বরং বুটেক্স ও পুরো বাংলাদেশের গর্বের বিষয়। তাঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও মেধাবী।”
ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম বলেন, “ড. আব্বাসের অর্জিত আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি কার্বন নিরপেক্ষতা সংক্রান্ত উদ্ভাবনের জন্য। তাঁর গবেষণা আমাদের গর্বিত করেছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একদিন বুটেক্সকে বিশ্বের সেরা ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেখতে চাই।”
সংবর্ধিত অতিথি ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য কেউ কাজ করে না; কাজের মান যদি ভালো হয়, স্বীকৃতি একসময় নিজে থেকেই আসে।”
তিনি আরও বলেন, “ডিকার্বনাইজেশন ল্যাবের যাত্রা শুরু হয়েছে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য পূরণ ও টেক্সটাইল শিল্পকে পরিবেশবান্ধব করার উদ্দেশ্যে। টেক্সটাইল শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দূষণকারী শিল্প। একে দূষণমুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন বলেন, “এই অর্জন শুধু বিভাগের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়। আশা করি, ড. আব্বাসের উদ্ভাবন দেশের টেক্সটাইল খাতে বড় পরিবর্তন আনবে।”
উল্লেখ্য, ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন শায়ক ‘গ্লোবাল চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর বিশ্বের সেরা ১০ উদ্ভাবকের একজন। তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁর উদ্ভাবনী আইডিয়া ‘ডিকার্বনাইজেশন ল্যাব’-এর জন্য এই স্বীকৃতি পান এবং গত ২৩ অক্টোবর সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেসের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
