পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে মসজিদে সশস্ত্র হামলা হয়েছে । সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ৪৪ জন নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন। দেশটির সরকার নিহতদের স্মরণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ মার্চ) সীমান্তবর্তী কোকোরু শহরের ফামবিতা এলাকায় এই হামলা ঘটে।
নাইজারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলাটিকে ‘বর্বর’ উল্লেখ করে জানায়, সশস্ত্র হামলাকারীরা মসজিদটি ঘিরে ফেলে নির্বিচারে গুলি চালায়।
এছাড়া, স্থানীয় একটি বাজার ও বেশ কিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নাইজারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলার জন্য ইসলামিক স্টেট ইন দ্য গ্রেট সাহারা (ইআইজিএস) গোষ্ঠীকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত গোষ্ঠীটি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় নাইজারজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,
“আমরা এই সন্ত্রাসী হামলার যথাযথ জবাব দেবো।”
ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনী হামলাকারীদের সন্ধানে অভিযান শুরু করেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হামলার সময় মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মুসল্লিরা। হঠাৎ অস্ত্রধারীদের হামলায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো নাইজারে মসজিদে সশস্ত্র হামলা এর নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নাইজারে সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এই হামলার ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে আরও সুসংগঠিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ প্রয়োজন।