নাগরিকদের সুবিধার্থে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা আরও সহজ করার জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন থেকে হারানো বা নষ্ট হওয়া এনআইডি পুনরায় করার ক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার বাধ্যবাধকতা শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক (বৈধ ও সঠিকতা যাচাই) মুহা. সরওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে, নাগরিকদের দুর্ভোগ কমানো এবং সেবা প্রক্রিয়া সহজ করার স্বার্থে হারানো বা নষ্ট হওয়া এনআইডি পুনরায় করার ক্ষেত্রে জিডি দাখিলের বিধান বাতিল করা হলো।
এ পর্যন্ত হারানো বা নষ্ট এনআইডি পুনরায় নেয়ার জন্য আবেদনকারীদের থানায় গিয়ে জিডি করতে হতো। নতুন নিয়মে আবেদনকারী সরাসরি আবেদনপত্র এবং নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে এনআইডি পুনরায় পাবেন।
ইসি জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন (ক্র্যাশ প্রোগ্রাম) কার্যক্রমের আওতায় ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে মোট ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি আবেদন ইতিমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়েছে। ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “নাগরিকদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমেছে, আর সেবা প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে।”
১. হারানো বা নষ্ট এনআইডি পুনরায় পেতে আর থানায় জিডি করতে হবে না।
২. আবেদনকারীরা সরাসরি নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
৩. তথ্য যাচাই ও নিরাপত্তা পরীক্ষা নিয়মিত চলবে।
৪. ১৬ বছর বয়স হলে নাগরিকরা এনআইডি নেওয়ার যোগ্য হবেন। তবে ভোটার হওয়ার জন্য বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
এর প্রভাবে সাধারণ নাগরিকরা দ্রুত সেবা পাবেন, বিশেষ করে যারা আইনগত প্রক্রিয়া বা থানায় যেতে সময় খরচ করতেন। প্রশাসনিক প্রক্রিয়া দ্রুত হবে, তবে যাচাই‑বাছাই প্রক্রিয়া আরও গুরুত্ব পাবে। আশা করা যাচ্ছে, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে এনআইডি সংশোধনের আবেদন বৃদ্ধি পেতে পারে।
নতুন নির্দেশনা নাগরিকদের জন্য একটি সহজ সেবা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে প্রচলিত জিডি প্রক্রিয়া বাদ পড়ে সময় ও খরচ বাঁচবে। প্রশাসনও আশা করছে, প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, যা নাগরিক সেবা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও জনগণবান্ধব করবে।