চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানিয়েছেন, ইরানের ওপর মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ‘প্রকৃত যুদ্ধবিরতি’ প্রতিষ্ঠায় ইরানকে পূর্ণ সমর্থন দেবে চীন। এক ফোনালাপে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে তিনি বলেন, চীন ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষার অধিকারকে সমর্থন করে। সেই সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য একটি প্রকৃত যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ওয়াং ই মার্কিন বাহিনীর ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে থাকা পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন। এ ধরনের হামলা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করে।
ওয়াং ই আরও বলেন, এ অঞ্চলের সংঘাত আরও বাড়লে, মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরের দেশগুলোও তার ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করবে। তাই যুদ্ধ নয়, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান প্রয়োজন। চীন যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সক্রিয়ভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
চীন ইরানের অন্যতম প্রধান তেলের ক্রেতা। ২৫ বছরের অর্থনৈতিক সমঝোতার আওতায় দুই দেশের মধ্যে ৪০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে। ফলে ইরানের নিরাপত্তা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি চীনের জন্যও অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই স্বার্থও চীন এই অবস্থানের মাধ্যমে রক্ষা করছে।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, প্রকৃত যুদ্ধবিরতি তখনই সম্ভব, যখন ইসরায়েল তার আগ্রাসন বন্ধ করবে। পাশাপাশি, ইরানের পারমাণবিক নিরাপত্তা সংস্থা জানায়, হামলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য না থাকলেও তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।