ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিল একমত পোষণ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। এর মধ্যেই বিভিন্ন ব্যাচের ছাত্রদের অসহযোগিতার কারণে পরিত্যক্ত ছাত্রাবাসের ঝুঁকিপূর্ণ তলা খালি করা সম্ভব হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, এ বছর নতুন এমবিবিএস ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান বর্জন করা এবং আন্দোলনের ধারা অব্যাহত থাকায় কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল অ্যাক্রেডিটেশন ভিজিট অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সবকিছু বিবেচনায়, একাডেমিক কাউন্সিল জরুরি সভায় এমবিবিএস শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার্থী ও বিদেশি শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তের আওতায় থাকবে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, অবকাঠামো সংস্কার এবং দাবির বিষয়গুলো দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে এর আগে নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে দ্রুত নতুন হোস্টেল নির্মাণ এবং পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাস খালি করাসহ বিভিন্ন দাবির বিষয় ছিল।