বৃটিশরা ৪৫ ট্রিলিয়ন পরিমাণ সম্পদ চুরি করেছে ভারতীয় উপমহাদেশে থেকে। এখানে ভারতীয় উপমহাদেশে বলতে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশকে সম্মিলিত ভাবে বোঝানো হয়েছে। পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের ৪৫ ভাগের একভাগ যদি বাংলাদেশ ভূখন্ডের আয়তন হয়, তাহলে তারা বাংলাদেশ থেকে ১৯০ বছরে নিছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার সমমূল্যের সম্পদ।
আওয়ামী লীগ এবং তাদের স্বৈরাচারী ব্যবস্থা গত ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার করেছে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের মতো (সোর্স: দৈনিক আমাদের সময়, ২০২৪)।
আওয়ামী লীগ যদি বৃটিশদের মতো ১৯০ বছর ক্ষমতায় থাকতো তাহলে আনুপাতিক হারে তারা পাচার করতো, ১৯০÷১৫=১২.৬৬৬।
অর্থাৎ ১২.৬৬×১৫০=১৮৯৯ বিলিয়ন ডলার বা ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার।
তাহলে চিন্তা করুন কত ভয়াবহ ভাবে আমাদেরকে লুণ্ঠন করেছে এই দলটি।
এখানে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তা আমাদের ইতিহাসের একটি অন্ধকার দিকের প্রতি ইঙ্গিত দেয়। যেখানে একদিকে বৃটিশরা ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ চুরি করে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে, সেখানে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দেশের সম্পদ পাচার করেছে ১৫০ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ। এই পরিমাণ অর্থ যে কোনো রাষ্ট্রের জন্য একটি বিশাল ক্ষতি, তা সহজেই অনুমেয়।
যদি আওয়ামী লীগ সরকার বৃটিশদের মতো ১৯০ বছর ক্ষমতায় থাকতো, তবে তাদের দ্বারা পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ছিল ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার, যা দেশের জন্য একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করত। এর ফলে বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান আরও খারাপ হতো এবং দেশের সম্পদে আরও বৃহত্তর ক্ষতি হতো। এই বিশাল পরিমাণ অর্থ পাচারের কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও সুযোগ-সুবিধা কমে যায়।
এমন পরিস্থিতি থেকে দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব, যে নেতৃত্ব দেশের প্রকৃত উন্নতি ও কল্যাণে কাজ করবে।
Leave a Reply