একজন ইসরায়েলি সেনার সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা প্রমাণের ভিত্তিতে ব্রাজিলের আদালত আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই যুদ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু করেছে।
ইসরায়েলি সেনারা গাজায় তাদের যুদ্ধাপরাধের ভিডিও প্রকাশ্যে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে আসছে। কিন্তু ব্রাজিলের একটি আদালত এমন এক ইসরায়েলি সেনার যুদ্ধাপরাধ এর তদন্ত শুরু করে নজির স্থাপন করেছে।
১২ জানুয়ারি, ইসরায়েলি সেনা যুবাল ভাগদানির ব্রাজিল ভ্রমণ শেষ হয় হঠাৎ। তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও এবং ছবি ব্রাজিলের ফেডারেল আদালত যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য ব্যবহার করেছে।
ভিডিওতে তাকে গাজার একটি বেসামরিক বাড়িতে বিস্ফোরক স্থাপন করতে এবং বিস্ফোরণের দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা যায়। এই প্রমাণগুলো হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশন (এইচআরএফ) আদালতে পেশ করেছে।
যদিও ভাগদানি গ্রেপ্তার এড়াতে আর্জেন্টিনায় পালিয়ে যায়, এই ঘটনা ইসরায়েলি সেনাদের দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
ব্রাজিলের আদালতের এই উদ্যোগ রোম স্ট্যাটিউট অনুযায়ী একটি মাইলফলক। আইসিসি’র নির্দেশনার অপেক্ষা না করেই তারা তদন্ত শুরু করেছে।
এইচআরএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা দিয়াব আবু জাহজাহ বলেন, “এই সিদ্ধান্ত জাতীয় আদালতগুলোকে উৎসাহিত করবে যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে।”
ইসরায়েলি মিডিয়া এই ঘটনার সমালোচনা করেছে। সেনাবাহিনী তাদের সদস্যদের সামাজিক মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ না দিতে সতর্ক করেছে।
একই সময়ে এইচআরএফ ইতোমধ্যেই ১,০০০-এরও বেশি মামলা আইসিসি এবং বিভিন্ন দেশের আদালতে দাখিল করেছে।
ব্রাজিলের সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জাগরণ হতে পারে। এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধের দায়মুক্তির বিরুদ্ধে কাজ করার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে।
Leave a Reply