
গাজায় ১৫ মাসের ভয়াবহ সংঘর্ষের পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে। কাতারের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গাজার লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল থানি জানান, হামাস ও ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি করেছে, যা ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে।
এই চুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, রাফাহ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৬০০ ট্রাক ত্রাণ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রবেশ করবে। গাজার হাসপাতাল সচল রাখতে ৫০টি জ্বালানিভর্তি ট্রাক পাঠানো হবে।
চুক্তির ঘোষণার পর গাজার ফিলিস্তিনিরা উল্লাস প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমাদের নভেম্বরে ঐতিহাসিক বিজয়ের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি আরও লিখেছেন, “মধ্যপ্রাচ্যে জিম্মি মুক্তির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক হামলা চালায়, যার ফলে গত ১৫ মাসে ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নেয়া হবে। পাশাপাশি, রাফাহ সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে যাতে ত্রাণ কার্যক্রম বাধাহীনভাবে চলতে থাকে। গাজার জনগণের জন্য এ যুদ্ধবিরতি একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো দ্রুততার সাথে চুক্তি বাস্তবায়ন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এই চুক্তির সফল বাস্তবায়নে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর সর্বশেষ নিউজ পড়তে ক্লিক করুন: সর্বশেষ
- দৈনিক সাবাস বাংলাদেশ এর ফেসবুক পেজটি ফলো করুন: dailysabasbd
Leave a Reply