ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, অন্যান্য জাতির তুলনায় ইরানিরাই একমাত্র সাহসী জাতি, যারা যুক্তরাষ্ট্রকে তার প্রকৃত নামে ডাকে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আসলে একটি আগ্রাসী, প্রতারণামূলক, মিথ্যাবাদী ও উপনিবেশবাদী দেশ, এবং এই সত্যটি প্রকাশ্যে বলার ক্ষমতা কেবল ইরানেরই রয়েছে।
৪১তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কোরআনের শীর্ষ শিক্ষক ও আবৃত্তিকারদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আলি খামেনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো ন্যায়নীতি বা মানবিক মূল্যবোধ অনুসরণ করে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গত ৪৬ বছর ধরে ইরান বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে, যা দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তার ভাষণের আরেক অংশে তিনি গাজার জনগণের বিজয়কে “অসম্ভবকে সম্ভব করার” দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
খামেনি বলেন, যুদ্ধের আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে, গাজার ছোট্ট ভূখণ্ডের ফিলিস্তিনিরা যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হবে।
তবে আল্লাহর ইচ্ছায় এই অসম্ভবকেই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
আলি খামেনি তার ভাষণে আরও বলেন, ইরান তার জনগণের উন্নয়ন ও মর্যাদার জন্য কখনোও পরাশক্তির বিরুদ্ধে মাথা নত করেনি এবং এভাবেই ইরান তার স্বাধীনতা রক্ষা করেছে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক ও সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ইরানের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেন এবং বলেন, ইরান তার লক্ষ্য থেকে বিচলিত হবে না।
এছাড়া, খামেনি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, গাজা তার জনগণের সাহস ও ঐক্যের নিদর্শন।
তিনি ফিলিস্তিনিদের সাহসিকতা ও লড়াইয়ের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ইরান সব সময় তাদের পাশে থাকবে।
তার মতে, ইসলামের শক্তি ও ঐক্যকে কেন্দ্র করে বিশ্বের অন্য জাতিরাও সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারবে।
Leave a Reply